মহিষালোহা উচ্চ বিদ্যালয়টি সাটুরিয়া উপজেলাধীন ধানকোড়া ইউনিয়নে অবস্থিত। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা জনাব মুন্সি আব্দুর জব্বার। বিদ্যালয়টি তিনটি পাকা ভবন সমন্বয়ে গঠিত এর মধ্যে একটি দ্বিতল বিশিষ্ট অন্য দুইটি আংশিক দ্বিতল। সামনে একটি খেলার মাঠ এবং পাশে একটি ফলজ ও বনজ গাছের বড় বাগান আছে।বিদ্যালয়টি তিন দিকে প্রাচীর ঘেরা।
মুন্সি আব্দুল জব্বার ছিলেন মহিষালোহা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসরিম পরিবারের একজন উচ্চ শিক্ষিত মানুষ। বৃটিশ শাসনাধীন পূর্ববাংলার মুসলমানরা ছিল কুসংস্কারাছন্ন। মুসলমানরা ই্ংরেজী শিক্ষাকে হারাম মনে করত। ফলে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী মুসলমানরা বিদ্যালয় বিমুখ হয়ে পড়ে। কিন্তু শিক্ষা জাতীর মেরুদন্ড। শিক্ষা ব্যতিত মুসলমানরা মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে না। এ বিষয়টি তিনি অন্তর দিয়ে অনুভব করেন। তিনি লক্ষ করেন যে, মুসলমানরা আরবী শিক্ষার প্রতি অত্যন্ত দুর্বল। মুন্সি আব্দুল জব্বার অশিক্ষিত মুসলমানরা জাতীকে শিক্ষিত করে তাদেরকে সমাজে প্রতিষিাঠত করে তুলতে বদ্ধ পরিকর ছিলেন। তাই আরবী শিক্ষার প্রতি দুর্বল মুসলমান জাতীর জন্য তিনি ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম মহিষালোহা জব্বারিয়া মাদ্রাসা নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। পরবর্তীতে তিনি মুসলমানদের সাধারন শিক্ষায় শিক্ষিত করে বিশ্ব দরবারে প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠানটিকে মহিষালোহা জব্বারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করেন। । অত্র বিদ্যালয় হতে পাশ করে পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের পর বহু শিক্ষার্থী দে-বিদেশে ও সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদ অলংকৃত করে আসছে।
১।জনাব মো:আব্দুর রশিদ চৌধুরী সভাপতি
২। জনাব মো: আলতাফ হোসেন শিক্ষক প্রতিনিধি
৩। জনাব মো: আব্দুস সালাম শিক্ষক প্রতিনিধি
৪। জনাব মো: মুজিবুর রহমান অভিভাবক সদস্য
৫। জনাব মো: সিদ্দিকুর রহমান অভিভাবক সদস্য
৬। জনাব মো: আরিফুল ইসলাম অভিভাবক সদস্য
৭। জনাব নুর মোহাম্মদ অভিভাবক সদস্য
৮। জনাব লীমা সুরতানা সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য
৯। জনাব মো: জসীম উদ্দিন কো-অপ্ট সদস্য
১০। জনাব মো: আমিন উদ্দিন সদস্য সচিব
এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল :
সন | পরীক্ষার্থীর সংখ্যা | পাশের সংখ্যা | শতকরা হার |
২০০৭ | ৮৪ | ৫৪ | ৬৪.২৯% |
২০০৮ | ১০৩ | ৫৮ | ৫৬.৩১% |
২০০৯ | ১০২ | ৫০ | ৪৯.০০% |
২০১০ | ১০৪ | ৬৬ | ৬৩.৪৬% |
২০১১ | ১৩৩ | ৯৭ | ৭২.৯৩% |
পরীক্ষার ফলাফল :
সন | পরীক্ষার্থীর সংখ্যা | পাশের সংখ্যা | শতকরা হার |
২০০৭ |
|
|
|
২০০৮ |
|
|
|
২০০৯ |
|
|
|
২০১০ | ১৩২ | ৬৫ | ৪৯.৪২% |
২০১১ | ১৬৭ | ৯১ | ৫৪.৪৯% |
জুনিয়র বৃত্তি
= ২০১১- ০১ জন
= ২০১০- ০১ জন
= ২০০৯- ০১ জন
= ২০০৬- ০৩ জন
উপবৃত্তি = ২০১১ - ১৫৭ জন
অত্র বিদ্যালয় হতে পাশ করে পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের পর বহু শিক্ষার্থী দে-বিদেশে ও সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদ অলংকৃত করে আসছে।
বিদ্যালয়টিকে দ্বাদশ শ্রেণীতে উন্নীত করা।
ঢাকা আরিচা মহসড়কের নয়াডিংগী বাসস্ট্যান্ড হতে পাকা রাস্তায় রিক্সাযোগে ৩.০০ কিমি উত্তরদিকে।
মো: লিয়াকতহোসেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস