Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব

কিশোরীলাল রায় চৌধুরী

(১৮৪৮-১৯২৫)

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা কিশোরীলাল রায় চৌধুরী। ১৮৪৮ সালের ১৯শে নভেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার বালিয়াটি জমিদার পরিবারের প্রখ্যাত পশ্চিম বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মহাত্মা জগন্নাথ রায় চৌধুরী। জনহিতকর কাজে তিনি ছিলেন অগ্রনায়ক। তিনি ১৮৮৪ সালের ৪ঠা জুলাই তাঁর পিতার নামে জগন্নাথ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন, যা বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিতি। বালিয়াটির প্রসিদ্ধ জমিদার শ্রীযুক্ত কিশোরীলাল রায় চৌধুরী ঢাকায় বাংলা বাজারে ১৮৮৭ সালে তাঁর নিজ নামে কিশোরীলাল জুবিলী হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি নাট্য চর্চার উন্নতির জন্য মালঞ্চ নামে ঢাকাতে তিনি একটি রঙ্গমঞ্চ গড়ে তোলেন। সেই  রঙ্গমঞ্চটি বর্তমানে লায়ন্স সিনেমা নামে পরিচিত। বালিয়াটিতে তিনি একটি দাতব্য চিকিঃসালয় স্থাপন করেন যা অদ্যাবধি সরকারী নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে। ১৯২৫ সালের ৩ জুলাই বাবু কিশোরীলাল রায় চৌধুরী পরলোকগমন করেন।

 

কর্ণেল (অবঃ) এম. এ মালেক

(১৯৩৫-২০০০)

বিশিষ্ট সমাজসেবক কর্ণেল (অবঃ) এম. এ মালেক, পি.এস.সি, মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দইর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৩৫ সালের পহেলা মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম এম, কে মোল্লা এবং মাতার নাম বেগম ইসাতুন্নেছা। তিনি মানিকগঞ্জ মডেল হাইস্কুল থেকে ১৯৫২ সালে ম্যাট্রি্ক পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি দেবেন্দ্র কলেজ হতে ইন্টারমিডিয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে তদানীন্তন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত হন। সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি ১৯৭৫ সালে ব্যবসায়ে আত্মনিয়োগ করেন। মানিকগঞ্জ-সাটুরিয়া নির্বাচনী এলাকা হতে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৬ সন থেকে ১৯৮৯ সন পর্যন্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৯ সালে বস্ত্রমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রী পরিষদে যোগদান করেন। বিশাল মনের অধিকারী এ মহান ব্যক্তিত্বকে বলা হয় মানিকগঞ্জের উন্নয়নের রূপকার, যিনি মানিকগঞ্জের উন্নয়নে এবং গরীব, দুঃখী, অসহায়, দুঃস্থ মানুষের কল্যাণের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। তিনি ২০০০ সালের ১৬ ই জুলাই তারিখ ভোর ৫টায় জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

 

কালুশাহ এবং তাঁর উত্তরসুরীগন

বাউল সাধক কালুশাহ (১৮১০-১৯০৬) মানিকগঞ্জের বাউলজগতের উজ্জ্বলতম ব্যক্তিত্ব। সাটুরিয়া উপজেলার কাউন্নারা গ্রামে মাজার অবস্থিত।

সাধক সালুশাহ মারফতী, মুরশিদী দেহতত্ত প্রভৃতি বিষয়ক গান রচনা করে নিজে গাইতনে। তার গান বাংলাদেশ ও ভারতের অসংখ্য কন্ঠে এখনও গীত হয়। রেডিও এবং টেলিভেশনে কালুশাহর গান প্রচারতি হয়। কালুশাহ একাডেমী ও কালুশাহ শিল্পগোষ্ঠী তার গান সংরক্ষণ, প্রশিক্ষণ ও প্রচারের বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন।

কালুশাহ মাজার প্রতিবছর মাঘ মাসের চাঁদের ১০ ও ১১ তারিখে এরশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজার হাজার ভক্ত এবং দেশের প্রখ্যাত বুদ্বিজীবীদের সমাগম ঘটে।

সাধক কালুশাহভক্ত শিষ্যদের মধ্যে কাউন্নারার জয়নাল শাহ, নেধুশাহ, (কালু শাহর দ্বিতীয় পুত্র), শৈর পাইর এর ওসমান শাহ, কাপালিয়ার কুফা মন্ডল, টাঙ্গাইল, জামকুরীর ছাবদে সরকার, নয়ন খান, পাল জমাদ্দার, মোজুরী গ্রামের মুস্তী শাহ, করচাবাধার জরীপ শাহ, দোলাই পাড়ার রাহাই ফকির মাইজখাড়ার ওয়াজ উদ্দিন ও নইমুদ্দিন।