বৃটিশ আমল হতেই সাটুরিয়া উপজেলা সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে বিশেষ পরিচিতি আছে। বালিয়াটিতে যাত্রানুষ্ঠানের জন্য তিনটি স্থায়ী মঞ্চ ছিল। নাট্যানুষ্ঠানের জন্য পশ্চিম বাড়ীতে ছিল সুরম্য নাট্যমঞ্চ যা বর্তমানে বিলুপ্ত। ষাটের দশকে বালিয়াটির বুকে যাত্রায় জোয়ার নেমে আসে। এ সময় সৃষ্টি হয় বিখ্যাত জয়কালী থিয়েট্রিক্যাল যাত্রা পাটিং অপরটি এ্যামাচার যাত্রা পাটি-১। ১৯৪৮ সালের পর জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতা যখন ছিলোনা, দেশ বিভাগ হয়ে গেল তখন বালিয়াটি দশ আনীর দুর্গা মন্দিরের সম্মুখস্থ নাট মন্দিরের দুর্গা পূজার সময় পূর্ব পাকিস্থান তথা আজকের বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ যাত্রাদল যেমন : বাবুল অপেয়া, তায়দূর্গা অপেরা, জগন্নাথ অপেরা, অভিনীত যাত্রাপালা বালিয়াটি তথা এ এলাকায় লোকজন উপভোগ করেছেন। সাটুরিয়া সঙ্গীত মূখর একটি উপজেলা। উপজেলা জমিদারদের পৃষ্ঠ পোষকতায় এখানে বড় বড় সঙ্গীতের আসর বসতো। গ্রামের আনাচ-কানাচ থেকে, হয়তোবা কোন বাড়ীর বাংলো থেকে নয়তোবা কোন বাড়ান্দা থেকে সন্ধ্যায় কিংবা বাতে সঙ্গীতের সুর ভেসে আসতো। বালিয়াটি রামকৃঞ্চ মিশন যে আয়োজিত শ্রীরামকৃঞ্চ জন্মোৎঘরে প্রয়াত জননন্দিত চিত্র পরিচালক শ্রী সুভাষদত্ত ও সমরেন্দ্র সাহা লাহোরের উপস্থাপনায় বালিয়াটিতে ভক্তিগীতি পরিবেশন করে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন বেতার ও টেলিভিশনের অনেক শিল্পী কালের বিবর্তণে সাটুরিয়া উপজেলা ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় যেন এক উজ্জল পথিকৃত।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS